সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন
গৌরীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা।ছবি-সংগৃহীত
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ জানতে ঢাকায় সাক্ষাৎকার বোর্ডে জবানবন্দি দেয়ার জন্য গৌরীপুর রেলওয়ের তিন কমকর্তা-কর্মচারীকে ঢাকায় তলব করা হয়েছে।
শনিবার গৌরীপুর রেলওয়ের সিএসএম আবদুল কাদির, পয়েসম্যান মো. ইসমাইল হোসেন ও সিগন্যাল খালাসি জেসমুন আরিফ তৌফিককে ঢাকা তলব করেছেন।এদিকে একই দিন বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিবহন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিমকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- সিগন্যাল বিভাগের কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী সুকুমার রায় এবং এএমাই কর্মকর্তা সাজিদ হাসান নির্জন।এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা ৫টা ২০ মিনিটে ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরের তারাকান্দিগামী সারবাহী ট্রেনের একটি বগি গৌরীপুরে লাইনচ্যুত হয়।
এ দুর্ঘটনার কারণে ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় সাড়ে ৫টা উদ্ধারকাজ শেষে ময়মনসিংহ-চট্টগ্রামসহ সারা দেশের সঙ্গে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে উদ্ধারকাজে নিয়োজিত রিলিফ ট্রেনের ২৮০৪নং টুলস ইঞ্জিন শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে লাইনচ্যুত হয়।মালবাহী ট্রেনের দুটি বগি ৪নং রেললাইনে রেখে ফেরত আসার সময় ক্রসিং পয়েন্টে ইঞ্জিনে দুর্ঘটনা ঘটে।স্টেশনমাস্টার আবদুর রশিদ জানান, শনিবার সকাল ৬টায় দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনটি উদ্ধার শেষে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।
কেবিনমাস্টার মো. সাইদুর রহমান জানান, দুর্ঘটনাকবলিত সারবোঝাই মালবাহী ট্রেনের দুটি বগি ডেমেজ হয়ে গেছে। বাকি ২২টি বগিসহ মালবোঝাই ট্রেনটি দুপুর ১টার পর তারাকান্দির উদ্দেশে যাত্রা করে। রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগের অধীনে দুর্ঘটনাকবলিত রেললাইনে মেরামতকাজ বলে নিশ্চিত করে উপপ্রকৌশলী ওয়াহেদুল হক।
অপর কেবিনমাস্টার মো. শফিকুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস রাত ৯টার স্থলে ১২টায় ময়মনসিংহের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। উদ্ধারকাজের জন্য মোহনগঞ্জ থেকে ২৬৩নং ট্রেনটি শ্যামগঞ্জে আটকা পড়ে।
ছেড়ে যাওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল রাত ৮টা ৪২ মিনিট। বিজয় ছেড়ে যাওয়ার পর মোহনগঞ্জ ট্রেনও ছেড়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গৌরীপুর পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার ১নং রেলক্রসিং অতিক্রম করার পরেই মালবাহী ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। তবে ট্রেনচালক ও পরিচালক টের পায়নি। ফলে লাইনচ্যুত বগি নিয়ে মালবাহী ট্রেনটি প্রায় ৩০০ গজ চলে যায়।
এ সময় বিকট শব্দে আশপাশের মানুষ চিৎকার শুরু করলে ট্রেনটি গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনের আউটার সিগন্যালে কাছে গিয়ে থামে। ট্রেনের চালক মো. রেজাউল করিম জানান, গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনের ৩৩১/২ কিলোমিটার পয়েন্টে সারবোঝাই ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছিল।
ট্রেনের পরিচালক ফজলে এলাহী জানান, ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে সারবোঝাই ২৪টি বগি নিয়ে ময়মনসিংহের উদ্দেশে রওনা দেই। গৌরীপুর ১০নং বগির চারটি চাকা রেললাইন থেকে সরে গিয়েছিল।
এসএস